নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩ [অনলাইনে ও অফলাইনে]
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে লেখা আর্টিকেলটিতে আপনাকে স্বাগতম। আপনি যদি একজন ভোটার হয়ে থাকেন এবং নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তবে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক সহায়ক হবে। আর্টিকেলটিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং আর্টিকেলে থাকা নিয়ম অনুসরণ করে আপনি সহজেই নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আপনার আবেদন গ্রহণ বা সম্পন্ন হলে ভোটার আইডি কার্ড পেয়ে যাবেন।
প্রতি বছর বাংলাদেশে অনেক মানুষ নতুন ভোটার হয়। আবার অনেকেই ভোটার হয়েছেন কিন্তু ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করেনি ফলে ভোটার আইডি কার্ড হাতে পায়নি। অনেকেরই বিভিন্ন প্রয়োজনে ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন হয়। ফলে সেই ব্যক্তিকে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়। নতুন ভোটার হওয়ার কারণে সেই সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায় এ নিয়ে খোঁজ শুরু করে।
আরো পড়ুনঃ
- আমার ভোটার আইডি কার্ড দেখতে চাই | ভোটার আইডি কার্ড দেখার নিয়ম
- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড [হারানো, পুরাতন, নতুন সকল]
- ভোটার তথ্য যাচাই | Voter Tottho Check
এ সম্পর্কে খোঁজ করতে করতে যদি আপনি আমাদের ওয়েবসাইট ভোটার তথ্য (Voter Tottho) তে চলে আসেন তবে একদম সঠিক জায়গায় এসে পড়েছে। ভোটার তথ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকি। তাই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বা আর্টিকেল অন্য সকল ওয়েবসাইট থেকে নির্ভুল। এই আর্টিকেলে দেখানো নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম অনুসরণ করলে সহজেই এ বিষয়ে জানতে পারবেন এবং ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তাহলে চলুন নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। তবে শুধু মাত্র এ নিয়ম সম্পর্কে জানলেই হবে না। কারা কার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে, কি কি প্রয়োজন হবে ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করার জন্য, ফি কত ইত্যাদি তথ্যও জানতে হবে। সকল কিছু জেনে নিতে পারবেন।
Table of Contents
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম ২০২৩
বর্তমানে (২০২৩ সালে) বাংলাদেশে দুই পদ্ধতিতে নতুন ভোটার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারে। আমরা প্রায় সকলেই এই নিয়ম দুইটি সম্পর্কে পরিচিত। দুইটি নিয়মই ভোটার হওয়ার জন্য অনেক কার্যকর একটি পদ্বতি। নিয়ম দুইটি হলো –
- ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় নতুন ভোটার আইডি কার্ড করা
- অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করা
এই দুই নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যখ্যা ও নিয়ম জানতে পারবেন আর্টিকেলটিতে। আপনার কাছে যেটি পছন্দনীয়ে সেই নিয়ম অনুসরণ করে আপনি ভোটার আইডি কার্ড করবেন। তবে নিয়ম দুইটি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার আগে চলুন জেনে নেই নতুন ভোটার হতে হলে কি কি প্রয়োজন, কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে, ফি কত ইত্যাদি।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার যোগ্যতা
যে কেউ চাইলে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে পারবে না। এর জন্য কিছু যোগ্যতা প্রয়োজন। এগুলো হলো –
- বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবেঃ বাংলাদেশের নাগরিক ছাড়া অন্য কোন দেশের অধিবাসী ভোটার আইডি কার্ড করার যোগ্যতা রাখে না। তবে সে পাসপোর্ট করতে পারবে।
- ১৫ থেকে ১৬ বছর হতে হবেঃ ১৫ এর কম বয়সী কোন বাংলাদেশী নাগরিক ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা রাখে না। নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য অবশ্যই সর্বনিম্ন ১৫ বছর হতে হবে।
- পূর্ব নিবন্ধিত কোন ভোটার আইডি নেইঃ যদি কারো পূর্ব নিবন্ধিত ভোটার আইডি কার্ড না থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে। পূর্বে যদি কোন ভোটার আইডি কার্ড থাকে তাহলে সে নতুন আইডি কার্ড করতে পারবে না। তবে পূর্বের আইডি কার্ডে কোন তথ্য ভুল থাকলে সেটি সংশোধন করতে পারবে।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার কি কি প্রয়োজন। কেননা এসকল কিছু কোন একটিই না থাকলে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবেন না।
ক্রমিক নং | প্রয়োজনীয় জিনিস | প্রয়োজনীয়তা/ ব্যখ্যা |
---|---|---|
১ | ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি | অবশ্যই ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের প্রয়োজন হবে। ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন ছাড়া নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা সম্ভব নয়। |
২ | পিতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি | অবশ্যই পিতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হবে। অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার আবেদনের সময় দিতে হবে। পিতা/ বাব মারা গিয়ে থাকলে মৃত্যু সনদের ফটোকপি দিতে হবে। |
৩ | মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি | অবশ্যই মাতার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হবে। অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার আবেদনের সময় দিতে হবে। মাতা/ মা মারা গিয়ে থাকলে মৃত্যু সনদের ফটোকপি দিতে হবে। |
৪ | বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট/ প্রবেশ পত্র/ মার্কশীটের ফটোকপি | অবশ্যই এ তথ্যগুলো মধ্যে যেকোন একটির ফটোকপির প্রয়োজন হবে। এসএসসি, জেএসসি বা এইচএসসি এসকল বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেটের/ প্রবেশ পত্রের বা মার্কশিটের ফটোকপি দিলে হবে। |
৫ | বিদ্যুৎ/ গ্যাসের বিলের কাগজ | এই কাগজের প্রয়োজন পড়বে স্থায়ী বা অস্থায়ী ঠিকানা প্রমাণ করার জন্য। |
৬ | রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার কাগজ | বর্তমানে ভোটার আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপও লেখা থাকে। তাই ক্ষেত্রে বিশেষে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষার মেডিকেল সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হতে পারে। |
৭ | একটি সচল মোবাইল নাম্বার | অবশ্যই একটি সচল মোবাইল নাম্বার প্রদান করতে হবে যাতে পরবর্তীতে ভোটার আইডি কার্ড বের হলে আপনাকে জানানো যায়। |
৮ | চেয়ারম্যান/ কাউন্সিলারের সাক্ষর সম্বলিত প্রত্যয়ন পত্র | কোন কোন ক্ষেত্রে এটি লাগতে পারে। তাই এটি সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। |
ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
আগেই বলেছি বর্তমানে দুই নিয়মে বা দুইটি উপায় অবলম্বন করে নতুন ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যায়। তার মধ্যে ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় নতুন ভোটার আইডি কার্ড করা অন্যতম একটি। কেননা এখানে অনেক সহজেই করা যায়। আর এটি একটি অফলাইন প্রক্রিয়া নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য।
জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগে বা কাউন্সিলার নির্বাচন ৬ মাস আগে দেশের প্রতিটি জায়গার নতুন ভোটারের তথ্য হালনাগাদ করা হয়। নির্বাচন কমিশনারের নিয়োজিত ব্যক্তিগণ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি নতুন ভোটারের তথ্য নিয়ে সেই তথ্য হালনাগাদ করে। তথ্য হালনাগাদের সময় তাকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিতে হয় এবং কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। কি কি প্রয়োজন তা ইতিমধ্যে আমি আর্টিকেলটিতে বলে দিয়েছি।
এ তথ্যগুলো যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে নতুন ভোটার তথ্য হালনাগাদের সময় আপনি সহজেই ভোটার আইডি কার্ড করতে পারবেন। এখান থেকে ভোটার আইডি কার্ড করা অনেক সহজ। কেননা তারা আপনার বাড়ি এসে নিজে থেকে সকল তথ্য ভেরিফাই করবেন। তথ্য হালনাগাদের পর আপনাকে তারা আপনাকে নির্দিষ্ট একটি তারিখ ও ঠিকানা প্রদান করবে।
সেই তারিখে নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য হালনাগাদ (ফিঙ্গার প্রিন্ট, রেটিনা স্ক্যান) এবং ছবি তুলতে হবে। এগুলো করার পর আপনাকে একটি ফরম নাম্বার বা স্লিপ নাম্বার প্রদান করা হবে। এটি দিয়ে পরবর্তীতে আপনি অনলাইন ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়মের আরেকটি হলো অনলাইনে আবেদন। ভোটার তথ্য হালনাগাদ সাধারণত নির্দিষ্ট সময় পর পর করা হয়ে থাকে। কিন্তু যদি কেউ সেই সময়ে ভোটার আইডি কার্ড করে না থাকে তাহলে তাকে পরবর্তী ভোটার তথ্য হালনাগাদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এমন্তা অবস্থায় যদি কোন ব্যক্তির বছর ১৮ বা তার ঊর্ধ্ব হয় তাহলে তাৎক্ষণিক ভোটার আইডি কার্ড পেতে হলে তাকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়ার সহায়তা নিতে হবে। কিভাবে এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ভোটার আইডি কার্ড পাবেন চলুন তে জেনে নেই। নিম্নে অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো। আপনি আবেদনের জন্য এ ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
ধাপ ১ঃ Bangladesh NID Application System ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
প্রথমেই আমাদেরকে Bangladesh NID Application System ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। কেননা এই ওয়েবসাইটি থেকেই আমরা নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারব। স্মার্টফোন বা কম্পিউটারের সাহায্যে ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করবেন। তবে, কম্পিউটা হলে তুলনামূলক ভালো হয়। ওয়েবসাইটির লিংক – https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/।
ধাপ ২ঃ আবেদন করুন বাটনে ক্লিক করুন
ওয়বসাইটটিতে ভিজিট করার পর আপনি উপরের স্কিনশটের মতোন আবেদন করুন বাটন দেখতে পারবেন। যেহেতু আমরা নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করব তাই এই বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। বাটনটিতে ক্লিক করে নতুন পেজ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
ধাপ ৩ঃ নাম ও জন্ম তারিখ দিন
ধাপ ২ সম্পন্ন করার পর আপনার সামনে উপরের স্কিনশটের মতোন নতুন একটি পেজ চলে আসবে। এটি হলো অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন ফরম। এখানে নাম ও জন্ম তারিখ দিতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য অনুযায়ী এখানে আপনার নাম ও জন্ম তারিখ ইনপুট করুন। ইনপুট করার পর ক্যাপচার পূরণ করে বহাল বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪ঃ মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করুন
এ ধাপে আমাদেরকে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করতে হবে। এখানে আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার লিখে বার্তা পাঠান বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে। বার্তা পাঠান বাটনে ক্লিক করার পর কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি ভেরিফিকশন কোড চলে আসবে এবার সেই কোড বসিয়ে দিয়ে বহাল বাটনে ক্লিক করলে আপনার ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হবে। যদি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর কোড না আসে তাহলে পুনারায় পাঠান বাটনে ক্লিক করলে আবার একটি কোড আপনার দেওয়া মোবাইল নাম্বারে চলে আসবে।
ধাপ ৫ঃ ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিন
মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন করার পর নতুন আরেকটি পেজ দেখতে পারবেন। এবার এখানে আপনাকে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে। ইউজারনেমটি এমন হতে হবে যেন এটি আর কারো নেই। অর্থাৎ ইউনিক একটি ইউজার নেম। যেমনঃ Imran112233, Imr124, Imran0090 ইত্যাদি। ইউজার নেম নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনি আপনার সংক্ষিপ্ত নাম ও মোবাইল নাম্বারের শেষের চার ডিজিট দিতে পারেন। উদাহরণঃ Imran3665। এতে করে আপনার ইউজারনেমটি অনেকখানি ইউনিক হবে।
ইউজার নেম দেওয়ার পর পাসওয়ার্ডের দুইটি ইনপুট বক্স দেখতে পারবেন। দুইটি বক্সেই একই পাসওয়ার্ড দিতে হবে। অবশ্যই ৬ থেকে ৮ ডিজিটের শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিবেন।
সব কিছু দেওয়া হয়ে গেলে বহাল বাটনে ক্লিক করবেন। ইউজার নেম ইউনিক না হলে ও পাসওয়ার্ড শক্তিশালী না হলো ইরর মেসেজ দেখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে এগুলো সমাধান করে পুনারায় বহাল বাটনে ক্লিক করবেন। যদি সব ঠিক ঠাক থাকে তাহলে আপনাকে পরবর্তী পেজ বা ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে।
ধাপ ৬ঃ প্রোফাইলে যান ও এডিট বাটনে ক্লিক করুন
এবার আমাদেরকে আমাদের প্রোফাইল সম্পাদন করে সকল তথ্য আপডেট করতে হবে। প্রোফাইল সম্পাদন করার জন্য প্রোফাইল বাটনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করার পর আপনি এডিট নামের একটি অপশন দেখতে পাবেন এবার সেখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর প্রোফাইল ইডিট করার সকল অপশন পেয়ে যাবেন। এবার কি করবেন তার ধাপ ৭ এ আলোচনা করা হয়েছে।
ধাপ ৭ঃ প্রোফাইল তথ্য আপডেট করুন
এ ধাপে আমাদেরকে সকল প্রোফাইল তথ্য আপডেট করতে হবে। অনলাইনে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়মে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। সকল তথ্যর বানান যেন সঠিক থাকে সেজন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রোফাইল তথ্য আপডেট আমাদেরকে তিন ধাপে করতে হবে। প্রথমে ব্যক্তিগত তথ্য তারপর অন্যান্য তথ্য এবং সব শেষে ঠিকানা।
প্রথমে আপনি ব্যক্তিগত তথ্য ইডিট করার অপশন পেয়ে যাবেন। এই তথ্যগুলো দেওয়া পর সবার উপরে পরবর্তী নামে বাটন পেয়ে যাবেন। পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যাবেন এবং প্রোফাইল তথ্য আপডেট করবেন যতক্ষণ না পর্যন্ত সাবমিট বাটন আসে। সাবমিট বাটন আসলে সাবমিট বাটনে ক্লিক করে প্রোফাইল তথ্য সেভ করে নিবেন।
ধাপ ৮ঃ ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন
সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর আপনি ডাউনলোড নামের একটি অপশন বা বাটন দেখেত পারবেন। এবার আপনাকে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে আবেদন কপি বা আবেদনের ফরম ডাউনলোড করে নিতে হবে।
ধাপ ৯ঃ আবেদন ফরম প্রিন্ট করে পূরণ করুন
এবার আপনি আবেদন ফরম প্রিন্ট করে নিন এবং যদি কোন তথ্য লেখার থাকে তবে তা কালো বল কলম দিয়ে লিখে পূরণ করে নিন।
ধাপ ১০ঃ আবেদন ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিন
আমাদের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন। এবার এই ফরমটির সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে করে নিয়ে নিকটস্থ নির্বাচন কমিশনার অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে। তারা আপনার সকল কাজগপত্র ও আবেদন ভেরিফাই করে জমা নিবে এবং নির্দিষ্ট একটি তারিখে এসে আপনাকে বায়োমেট্রিক তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। তারা আপনাকে তারিখ জানিয়ে দিবে বা এসএমএস এর মাধ্যমে জানতে পারবেন।
বায়োমেট্রিক তথ্য দেওয়ার কিছু দিনের মধ্যে আপনি আপনার নতুন ভোটার আইডি কার্ড হাতে পেয়ে যাবেন। এভাবে আর্টিকেলে দেওয়া নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম অনুসরণ করে সহজেই নিজে নিজের নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে পারবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন ও প্রশ্নের উত্তর চলুন জেনে নেই।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে?
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করতে প্রয়োজন পড়বে – ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি, পিতার ও মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট/ প্রবেশ পত্র/ মার্কশীটের ফটোকপি, বিদ্যুৎ/ গ্যাসের বিলের কাগজ, একটি সচল মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে বের করব?
অনলাইনের আইডি নাম্বার বা ফরম নাম্বার দিয়ে নতুন ভোটার আইডি কার্ড বের করতে পারবেন।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে কিভাবে পাব?
Bangladesh NID Application System ওয়েবসাইটে লগিন করে নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
উপসংহার
নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম নিয়ে আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি আর্টিকেলটিতে দেখানো নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম অনুসরণ করেন তাহলে সহজে নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করে তা পেয়ে যাবেন।
আশা করছি আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। ভোটার সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও আপডেট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে যুক থাকার জন্য।
Good