
নতুন ভোটার আবেদন | নতুন ভোটার? বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি কে একজন নতুন ভোটার? এজন্য নতুন ভোটার আবেদন করতে চান? কিন্তু জানেন না কিভাবে করবেন? তবে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সহযোগিতা করতে পারবে। আর্টিকেলটিতে এ বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের ওয়েবসাইট ভোটার তথ্য সম্পর্কিত নিয়মিত আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকে। তাই নতুন ভোটার আবেদন নিয়ে বিস্তারিত ও সঠিক তথ্য আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন এবং এ ব্যাপারে আপনি শতভাগ নিশ্চিত থাকতে পারেন। যেহেতু আপনি নতুন ভোটার আবেদন নিয়ে তথ্য খুঁজছেন তাহলে চলুন এ বিষয়টিকে নিয়ে এখন বিস্তারিত জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ
Table of Contents
নতুন ভোটার আবেদন
বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী প্রত্যক ১৮ বছর বয়সী নাগরিক ভোট দেওয়ার অধিকার রাখে। ভোট আমাদের সকলেরই মৌলিক অধিকারের মধ্যে অন্যতম একটি। ভোট প্রদান করার মাধ্যমে আমরা যোগ্য একজন প্রার্থী নির্বাচন করি। এছাড়া বিভিন্ন অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে যারা ১৮ উর্দ্ধে ব্যক্তি-বর্গরা পেয়ে থাকে। তবে এ জন্য অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
২১ বছরের মধ্যে ভোটার আইডি কার্ড করে নেওয়া অনেক ভালো। তবে ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়স হলে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করা যায়। আরা যাদের বছর ১৮ হয়েছে তাদের নতুন ভোটার হিসাবে গণ্য করা হয়। ১৫ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে ভোট লেখা গেলেও ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত ভোট প্রদান করতে পারবে না।
নতুন ভোটার আবেদন করার জন্য বর্তমানে আর আগের মতোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। অনেক সহজেই নতুন ভোটার আবেদন করা যায়। তবে এর জন্য অবশ্যই সঠিক নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন বা অনেক আগেই নতুন ভোটার হয়ে আছে আছেন তাদের উচিত ২১ বছর অথবা সর্বোচ্চ হলে ২৫ বছরের মধ্যে নতুন ভোটার আইডি কার্ড করে ফেলা।
কেননা ভোটার আইডি কার্ড দেরি করে করলে অনেক ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়। সবচেয়ে ভালো হয় যখন নতুন ভোটারদের ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয় তখনি ভোটার আইডি কার্ড করা। এতে করে কম ঝামেলার মধ্যে সহজেই ভোটার আইডি কার্ড করা যায়। এবার চলুন কি উপায় অবলম্বন করে নতুন ভোটার আবেদন করা যেতে পারে ও কিভাবে করা যেতে পারে তা জেনে নেই।
নতুন ভোটার আবেদন করার নিয়ম

নতুন ভোটার আবেদন বর্তমানে আপনি দুই পদ্ধতিতে করতে পারবেন। একটি হলো অফলাইনে এবং অপরটি হলো অনলাইনে। প্রায় প্রতি চার বছর পর পর নির্বাচন কমিশনার থেকে নির্বাচিত কিছু লোক প্রতিটি এলাকার গিয়ে নতুন ভোটারদের নাম তাদের ভোটার তালিকায় তোলে। পরে নির্দিষ্ট তারিখে গিয়ে ছবি ও বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হয় এবং কিছু দিনের মধ্যে ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া যায়। অফলাইনে নতুন ভোটার আবেদন করার এটিই সেরা উপায়। অন্যদিন অনলাইনেও নতুন ভোটার আইডি কার্ড করা যায় এজন্য আপনাকে প্রথমে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/ ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করতে হবে ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন ভোটার আইডির জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার পর আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নির্বাচন কমিশনার অফিসে জমা দিতে হবে। অতঃপর বায়োমেট্রিক তথ্য হালনাগাদের পর কিছুদিনের মধ্যে নতুন ভোটার আইড কার্ড পেয়ে যাবেন।
নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য কিভাবে আবেদন করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত একটি আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আছে। আপনি চাইলে আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আর্টিকেলটি পড়লে বিষয়টি আপনার কাছে অনেক পরিষ্কার হবে এবং নিজে থেকে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর্টিকেলের লিংকঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড করার নিয়ম।
নতুন ভোটার আবেদন করতে কি কি লাগে
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র বা তথ্যাদি লাগে। এগুলো লাগার প্রধান কারণ হলো আপনার জন্ম যে বাংলাদেশে তা যেন নিশ্চিত করার জন্য, আপনার স্থায়ী বা অস্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত করার জন্য, নাম যাচাইকরণের জন্য ইত্যাদি। যার কিছু প্রয়োজন তা নিম্নের তালিকায় দিয়ে দেওয়া হলো –
- ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন সনদ
- পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি
- যেকোন বোর্ড পরীক্ষার প্রবেশ পত্র বা মার্কশীট বা সার্টিফিকেটের ফটোকপি
- বিদ্যুৎ বিল বা গ্যাস বিলের কাগজ ইত্যাদি
উপসংহার
আর্টিকেলটি থেকে নতুন ভোটার আবেদন সম্পর্কিত আপনি প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেয়ে গেছেন বলে আমি আশা করছি। আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে সেই সম্পর্কে মতামত জানাতে কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে এতক্ষণ আমাদের সাথে থেকে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য।
ভোটার সম্পর্কিত সকল সঠিক তথ্য পেয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অন্যান্য আর্টিকেল দেখতে পারেন অথব নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে নতুন সকল আর্টিকেলের জন্য।